Ads

বাংলাদেশে নারীর সংখ্যা পুরুষের চেয়ে ১৬ লাখ বেশি

 তবে জনসংখ্যা বাড়লেও দেশে বার্ষিক গড় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস পেয়ে ১.২২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০১১ সালে এর হার ছিল ছিল ১.৪৮ শতাংশ। পুরুষ ও নারীর ক্ষেত্রে এ হার যথাক্রমে ১.১২ ও ১.৩১ শতাংশ।

২০২২ সালের জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো । এতে দেখা গেছে দেশে পুরুষের চেয়ে নারী উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বেশি।

মঙ্গলবার প্রকাশিত জনশুমারি অনুসারে, দেশের মোট জনসংখ্যার ৮ কোটি ১৭ লাখ ৬৯ হাজার ২৬৬ জন পুরুষ যা মোট জনসংখ্যার ৪৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। অন্যদিকে নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৮১ হাজার ২৬৬ যা মোট জনসংখ্যার ৫০ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

এ তথ্যানুসারে বর্তমানে দেশে পুরুষের চেয়ে নারী সংখ্যা ১৬ লাখ ১২ হাজার বেশি। শতকরা হারে এ সংখ্যা শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ। অর্থ্যাৎ, প্রতি হাজারে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি প্রায় দশজন।

মোট জনসংখ্যার ৮ হাজার ১২৪ জন হিজড়া বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

তবে জনসংখ্যা বাড়লেও দেশে বার্ষিক গড় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস পেয়ে ১.২২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০১১ সালে এর হার ছিল ছিল ১.৪৮ শতাংশ। পুরুষ ও নারীর ক্ষেত্রে এ হার যথাক্রমে ১.১২ ও ১.৩১ শতাংশ।

বাংলাদেশে জনশুমারির তথ্য অনুযায়ী. দেশে বর্তমানে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬৷ সরকারি হিসেবে ১১ বছরে দেশের জনসংখ্যা দুই কোটি ১১ লাখ বেড়ে ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন হয়েছে৷ এর মধ্যে ৪ কোটি ৪০ লাখ মানুষ ঢাকা বিভাগে বসবাস করেন৷ এই বিভাগে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ৷

বাংলাদেশে বর্তমানে স্বাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছেকমেছে অন্যান্য ধর্মের মানুষ

দেশে অন্যান্য ধর্মের জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে৷ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, হিন্দু জনসংখ্যা ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ থেকে কমে ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ, বৌদ্ধ জনসংখ্যা শূন্য দশমিক ৬২ থেকে কমে শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ, খ্রিস্টান জনসংখ্যা শূন্য দশমিক ৩১ থেকে কমে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ এবং অন্যান্য ধর্মের জনসংখ্যা শূন্য দশমিক ১৪ থেকে কমে শূন্য দশমিক ১২ শতাংশে নেমে এসেছে৷

এক দশক আগের মতোই দেশের বেশিরভাগ লোক এখনও গ্রামে বাস করে৷ কিন্তু গ্রামের জনসংখ্যা যেখানে বেড়েছে ৩০ লাখের কম, সেখানে শহরের জনসংখ্যা প্রায় দুই কোটি বেড়েছে৷

গত ১৫ জুন সারা দেশে একযোগে জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম শুরু হয়, যা ২৮ জুন পর্যন্ত চলে৷ এক মাসের মাথায় পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরলেন৷

২০২১ সালের আদমশুমারি ও গৃহগণনায় পুরুষ ছিলেন ৭ কোটি ২১ লাখ ৯ হাজার ৭৯৬ জন, নারী ছিলেন ৭ কোটি ১৯ লাখ ৩৩ হাজার ৯০১ জন৷ সে সময় ট্রান্সজেন্ডারদের আলাদাভাবে গণনা করা হয়নি৷

এপিবি/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, দ্য ডেইলি স্টার)

Post a Comment

0 Comments