Ads

বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।










 


আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ ও নিরাপদে আছেন। বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এ বিষয়ে আপনাদের

সকলকে সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরি |
মাঙ্কিপক্স Monkey Pox বা MPox কী?
মাঙ্কিপক্স একটি বিরল কিন্তু গুরুতর ভাইরাসজনিত রোগ যা পদ্মভাইরাস পরিবারের অন্তর্গত | এই রোগটি সাধারণত প্রাণী
থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায়, তবে মানুষের মধ্যেও সংক্রমণ ঘটতে পারে| এটি প্রথমে আফ্রিকার নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে
সীমাবদ্ধ ছিল, তবে বর্তমানে এটি অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে। সংক্রমিত ব্যক্তির ত্বক, শ্বাসপ্রশ্বাস, বা শরীরের তরল
পদার্থের মাধ্যমে এ রোগটি ছড়ায় |
• ১৯৫৮ সালে প্রথম বানর প্রজাতিতে দেখা যায় |
১৯৭০ সালে প্রথম কঙ্গোতে এ রোগের প্রাদুর্ভাব মানুষের শরীরে দেখা দেয় |
২০২৪ সালে, WHO অলরেডি ইমার্জেন্সি এলার্ট করেছে।
• ইতিমধ্যে ১৬০০০ জন আক্রান্ত ও ৫১১ জন মারা গিয়েছেন|
কিছু বিষয় জানা দরকার MonkeyPox বা MPox এর ব্যাপারে :
• MPox বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় না বরং Skin to skin contact এর মাধমে ছড়ায় |
এটা অনেক পেইনফুল, কিন্তু মৃত্যুহার খুবই কম| মৃত্যু হতে পারে যদি সেকেন্ডারি ইনফেকশন হয় |
সংক্রামক রোগ এমপক্স (মাঙ্কিপক্স) নিয়ে বাংলাদেশে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এমপক্সের লক্ষণ দেখা দিলে ১৬২৬৩ অথবা ১০৬৫৫ নম্বরে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর |

মাঙ্কিপক্সের লক্ষণসমূহ :
ভাইরাস ঢোকার ৩-১৭ দিনের মধ্যে লক্ষন প্রকাশ পায় ও ২৪ সপ্তাহ লক্ষন বিদ্যমান থাকে
জ্বর: প্রাথমিকভাবে তীব্র জ্বর দেখা দিতে পারে |
• মাথাব্যথা এবং পেশীর ব্যথা: রোগীর মাথা এবং শরীরের
অন্যান্য অংশে তীব্র ব্যথা অনুভূত হতে পারে |
• ক্লান্তি: রোগীর মধ্যে অবসন্নতা এবং শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়
• লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া: সংক্রমিত ব্যক্তির লিম্ফ নোডগুলো
ফুলে যেতে পারে |
• ত্বকের উপর ফুসকুড়ি: সংক্রমণের কয়েক দিনের মধ্যে ত্বকে
ফুসকুড়ি দেখা দেয়, যা পরবর্তীতে ফোস্কায় রূপান্তরিত হতে
পারে।
মাঙ্কিপক্স থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি:
• ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: নিয়মিতভাবে হাত ধোয়া এবং ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। হাত ধোয়ার জন্য সাবান এবং পানি অথবা অ্যালকোহলভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন|
• ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন: এমন ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন, যার মধ্যে মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ
দেখা যাচ্ছে | সংক্রমিত ব্যক্তির ত্বক বা শরীরের তরল পদার্থের সাথে সরাসরি যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন ।
• সতর্কতার সাথে ভ্রমণ: যে সমস্ত এলাকায় মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ বেশি, সেখানে ভ্রমণ করার সময় অতিরিক্ত
সতর্ক থাকুন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন
• অসুস্থ হলে কর্মস্থলে না আসা: যদি আপনার মধ্যে মাঙ্কিপক্সের কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তবে দয়া করে
কর্মস্থলে না আসুন এবং দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করুন| নিজের ও সহকর্মীদের সুরক্ষার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের সকলেরই এই ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস অনুসরণ করা জরুরি। 


Post a Comment

0 Comments