Ads

ঢাকার অলি-গলিতে এখন‌ও রয়েছে হাতিময় ঢাকার অনেক স্মৃতি।

 #ঢাকার অলি-গলিতে এখন‌ও রয়েছে হাতিময় ঢাকার অনেক স্মৃতি।


#রাজধানী ঢাকায় রয়েছে হাতির স্মৃতি বহনকারী বিভিন্ন স্থান, যেমন: পিলখানা, এলিফ্যান্ট রোড, হাতিরঝিল, হাতিরপুল, মাহুতটুলি, হাতিরঘাট, গজমহল ইত্যাদি। এগুলোর সঙ্গে মিশে আছে হাতির অনেক স্মৃতি।




#পিলখানাঃ মুঘল আমল থেকে হাতি পোষার জন্য ঢাকা ছিল বিখ্যাত। ফারসি ‘পিল’ শব্দের অর্থ হাতি। ১৮ শতকের শেষ দিকে পিলখানা ছিল হাতি প্রশিক্ষণের প্রধান জায়গা বা হাতিখেদা। তখন হাতি বাণিজ্য ছিল জমজমাট, যা নিয়ন্ত্রণ করতো ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানি। তারা ত্রিপুরা ও চট্রগ্রাম থেকে বুনো হাতি ধরে এনে পিলখানায় প্রশিক্ষণ দিতো।


#মাহুতটুলিঃ হাতির ইতিহাস বিজড়িত ঢাকার আরেকটি স্থান। ঢাকার যে এলাকায় মাহুত অর্থাৎ হস্তিচালকরা বাস করতো সে স্থানটি আজও মাহুতটুলি নামে পরিচিত।


#হাতিরঝিলঃ পিলখানার হাতিগুলোকে গোসল করানোর জন্য যে জলাশয় বা ঝিলে আনা হতো সেটি এখনকার হাতিরঝিল। 


#এলিফ্যান্ট_রোডঃ পিলখানার হাতিগুলোকে হাতিরঝিলে নেওয়ার জন্য যে রাস্তাটি ব্যাবহার করা হতো সেটি এখন এলিফ্যান্ট রোড। 


#হাতিরপুলঃ এলিফ্যান্ট রোডের মাথায় যে পুলটির নিচ দিয়ে হাতিগুলোকে হাতিরঝিলে আনা হতো তা এখন হাতিরপুল।


#গজমহলঃ গজ শব্দের অর্থ হাতি। হাজারিবাগের উত্তরে যে এলাকায় পিলখানার হাতিগুলোকে চরানোর জন্যে নেয়া হতো তাকে বলা হতো গজমহল।


#হাতিঘাটঃ উনবিংশ শতকে লালবাগে নবাবগঞ্জ এলাকায় হাতির গোসলের জন্য একটি ঘাট তৈরি করা হয়, যা আজও হাতিঘাট বলে পরিচিত।


#ঢাকায় কী পরিমাণ হাতি ছিলো ও কীভাবে তা হাতিশূন্য হলো! বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ার্সের লে. কর্নেল ডেভিসন ১৮৪১ সালে তার ঢাকা ভ্রমণে পিলখানায় গিয়েছিলেন। তখন সেখানে ১২৫টি হাতি ছিলো যার বেশিরভাগই বাচ্চা হাতি। ১৮৬৪ সালের বর্ণনায় রেমিনিসেন্স অব ঢাকা গ্রন্থের লেখক হৃদয়নাথ মজুমদার লিখেছেন তখন পিলখানায় হাতি ছিলো ১৫০টি। তার বর্ণনামতে, ১৮৮৫ সালে হাতিখেদা বিভাগ যখন বার্মাতে স্থানান্তরিত হয় তখন পিলখানায় কিছু দেশি স্কুল গড়ে ওঠে। হাতিখেদা বিভাগ বার্মাতে নিয়ে যাওয়ার পর কার্যত ঢাকায় হাতির বিচরণ স্তব্দ হয়ে যায়। তবুও ১৯০৯ সালে পিলখানায় কিছু হাতি দেখা গিয়েছিল। ধীরে ধীরে তাও হ্রাস পেয়ে এক সময় ঢাকা হাতিশূন্য হয়ে পড়ে।

Post a Comment

0 Comments