Ads

শীত কালে ঠোঁট কেন ফাটে

 

ঠোঁট ও যত্ন 

ঠোঁটকে যতটা সম্ভব আর্দ্র রাখতে। ঠোঁট ফাটা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত শুষ্ক বাতাস থেকে ঠোঁটকে সুরক্ষিত রাখুন। ফাটা ঠোঁটে কখনো কখনো ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে, তাই ঠোঁট ফাটার ব্যাপারে হতে হবে সচেতন। জেনে নিন কিছু পরামর্শ। নিয়মিত ঠোঁটে ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন।

শীতকালে পানি যেমন কম খাওয়া হয়, মুখও কম ধোয়া হয়। তাই কথা বলার সময় অনুভব করেন, আপনার ঠোঁট শুকিয়ে যাচ্ছে। যখনই এমন অনুভব করবেন, তখনই ঠোঁটে ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন। বাইরে বেরোলে সঙ্গে লিপবাম রাখতে পারেন। শীতে বাইরে গেলে ঠোঁট বেশি ফাটে এবং ঠোঁটে ধুলাও লেগে যায়। তখন মাঝেমধ্যে ঠোঁট একটু ধুয়ে নিয়ে লিপবাম লাগিয়ে নিন। ঠোঁট ধোয়ার সুযোগ না পেলে প্রথমে একটু লিপবাম লাগিয়ে সেটি মুছে ফেলুন। এতে আপনার ঠোঁট পরিষ্কার হবে।

তারপর আবার লিপবাম লাগান। মহিলারা লিপস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ময়েশ্চারাইজারযুক্ত লিপস্টিক বেছে নিন। যদি ম্যাট লিপস্টিক লাগাতেই চান, সেক্ষেত্রে সম্ভব হলে প্রথমে তুলা বা টিস্যুর সাহায্যে সামান্য একটু লিপবাম ঠোঁটে লাগিয়ে নিন এবং তারপর লিপস্টিক লাগান। শীতে অনেকের ঠোঁট কালো হয়ে যায় এবং খুব বেশি ফেটে যায়। তারা ঘরোয়া পদ্ধতিতেই নিতে পারেন বাড়তি যত্ন। গোলাপের পাপড়ির সঙ্গে মধু বা মাখন মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন সারা রাত।

ঠোঁটের গড়ন মোটামুটি চার ধরনের। পুরু ঠোঁট, পাতলা ঠোঁট, চওড়া ঠোঁট আর ছোট ঠোঁট। এই মৌসুমে ঠোঁটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। কখনো ঠোঁট ফাটে, কখনো বা কালচে ভাব চলে আসে। ’ ঠোঁট ফাটাটা অস্বস্তিকর ও কষ্টদায়ক। শীতে শুকনা আবহাওয়ার কারণেই ঠোঁট বেশি ফাটে। ঠাণ্ডার কারণে নাক বন্ধ থাকে। এ কারণে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। ঠোঁট ফাটলে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস কম নিতে হবে। তাহলে ঠোঁট ফাটা কমে যাবে। ঠোঁট ফাটলে অনেক সময় ত্বকের মরা অংশ জমে থাকে ঠোঁটের ওপর। এটা আটকাতে রাতে ঘুমানোর সময় বাদাম তেল লাগাতে হবে ঠোঁটে। মরা অংশ কখনোই টেনে তোলা যাবে না।

ঠোঁট কালচে হয়ে গেলে সেটাও হালকা করার উপায় আছে। এক টেবিল চামচ গোলাপের পাপড়ির পেস্ট আর এক টেবিল চামচ গ্লিসারিন এই সমস্যার সমাধান এনে দেবে। নিয়মিতভাবে ঠোঁটে মাখলে কালচে ভাব দূর হয়ে হালকা গোলাপি আভা চলে আসবে। মিশ্রণটি বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। মাখনের সঙ্গে জাফরান মিশিয়েও ঠোঁটে লাগাতে পারেন। এতে করে লালচে আভা চলে আসবে ঠোঁটে। ঠোঁটকে মসৃণ রাখতেও সাহায্য করবে। খুব বেশিক্ষণ ঠোঁটে লিপস্টিক লাগিয়ে রাখা উচিত না। সব সময় ভালো ব্র্যান্ডের লিপস্টিক ব্যবহার করবেন।

আশা করি আপনার উত্তর পেয়েছেন।

Post a Comment

0 Comments