Ads

ঔষধি গাছের উপকারিতা - রোগ নিরাময়

শিরোনাম: অর্জুন গাছের ঔষধি গুন্

   পরিচিতি:   অর্জুন গাছের পরিচিতি - অর্জুনগাছ একটি পত্রঝরা, মধ্যম বা বৃহৎ আকৃতির বৃক্ষ,এই গাছের উচ্চতা প্রায় ২০-২৫ মিটার। এই অর্জুন গাছের বৈজ্ঞানিক নাম: Terminalia arjuna, এবংএই গাছের ইংরেজি নাম arjun । অর্জুনগাছ ভেষজশাত্রে ঔষধি গাছ হিসাবে খুব পরিচিত কারণ এই গাছের ছাল, পাতা ও ফল ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পাতা গুলি আকারে একটু বড় এবং পাতার ধারগুলি খুব সরু দাঁত করাতের মত কিন এবং এই গাছের ফল গুলি সাধারণত আকারে একটু লম্বা হয়। মার্চ থেকে জুন মাসের ভিতরে এই গাছের ফুল ফোটে । অর্জুন গাছের ছালে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এবং গ্লুকোসাইড। এ ছাড়াও এর পাশাপাশি এতে রয়েছে ভিটামিন ই আর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। এমনকি অর্জুন গাছের ছালে আরো রয়েছে অনেক খনিজ উপাদান,যা আপনাকে অনেক সমস্যা থেকে সরাসরি মুক্তি দিতে সাহায্য করে ।
গুণাগুণ:
  • অর্জুন গাছের ছাল হৃৎপিন্ডের, রক্তের কোলেষ্টরলও কমাতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে ।এই গাছের ছাল বেটে খেলে হৃৎপিন্ডের পেশি শক্তিশালী হয় এবং এমনকি হৃৎপিন্ডের ক্ষমতাও বাড়ে।এ ছাড়াও এটি রক্তের কোলেষ্টরলও কমাতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকতে সাহায্য করে।





👉অধিকাংশ মানুষের মুখ,জিহ্বা ও মাড়ীর এবং শরীরে ক্ষত,খোস পাঁচড়া প্রভৃতি ধরণের রোগ জ্বালা হয়ে থাকে । এধরণের রোগ জ্বালা মেটানোর জন্যে অর্জুনের ছাল বেটে ওই মুখ,জিহ্বা ও মাড়ীর উপর লাগালে এবংশরীরে ক্ষত, খোস পাঁচড়াতেও এইগাছের ছাল বেটে লাগালেএই সমস্যা গুলো নির্মূল হয়ে যায়।
অর্জুন গাছের ছালে আরও বেশ কিছু গুন্ রয়েছে অর্থাৎ এমন কিছু অপরিহার্য তেল রয়েছে যা মানুষের শরীরে খাদ্য হজম ক্ষমতা বাড়ায় এমনকি শরীরের খাদ্যাতন্ত্রের ক্রিয়া স্বভাবিক রাখতে সাহায্য করে।



👉 অনেকের হাঁপানি,আমাশয়,ঋতুস্রাবজনিত সমস্যা,ব্যথ্যা ইত্যাদির সমস্যা প্রচুর পরিমানে হয়ে থাকে।এই সমস্যা গুলোর চিকিৎসার ক্ষেত্রে অর্জুন গাছের ছাল খুব উপকারী। এ ছাড়া এটি সংকোচ ও জ্বর নিবারকের ক্ষেত্রেও ক্ষেত্রেও অর্জুন গাছের ছাল ব্যাবহার করা হয়।
👉 অর্জুন গাছের ছালের সবচেয়ে অন্যতম গুন্ হলো এটি ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা়র ক্ষেত্রে ওষুধ হিসাবে ব্যাবহার করা হয়। কারণ এই গাছের ছালে ক্যান্সার কোষের বর্ধন রোধকারী gallic acid,ethy gallae ও lutenolin রয়েছে।যা ক্যান্সার রোগ থেকে মানুষকে বাঁচিয়ে তোলে। 👉যাদের শরীরে অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে সেই আক্রান্ত ব্যক্তির অ্যাজমা রোগের স্থায়ী সমাধান করতে হলে এই অর্জুন ছালের পাউডার ১২ গ্রাম দুধের ক্ষীর বা পায়েসের সাথে মিশিয়ে খেলে নির্মূল হবে।
👉 অর্জুন ছালের গুঁড়া কাশির পক্ষে অতুলনীয় উপকারী দিক,অর্জুন গাছের ছাল গুঁড়া করে বাসক পাতার রসে ভিজিয়ে নিয়ে ওই মিশ্রণটি আবার শুকনো করে একটু ঘি ও মধু বা মিছরির গুঁড়া দিয়ে খেলে কাশি ভালো হয়।

    👉 যাদের শরীরে অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে সেই আক্রান্ত ব্যক্তির অ্যাজমা রোগের স্থায়ী সমাধান করতে হলে এই অর্জুন ছালের পাউডার ১২ গ্রাম দুধের ক্ষীর বা পায়েসের সাথে মিশিয়ে খেলে নির্মূল হবে। 👉 অর্জুন ছালের গুঁড়া কাশির পক্ষে অতুলনীয় উপকারী দিক,অর্জুন গাছের ছাল গুঁড়া করে বাসক পাতার রসে ভিজিয়ে নিয়ে ওই মিশ্রণটি আবার শুকনো করে একটু ঘি ও মধু বা মিছরির গুঁড়া দিয়ে খেলে কাশি ভালো হয়।
    👉 যাদের শরীরে অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে সেই আক্রান্ত ব্যক্তির অ্যাজমা রোগের স্থায়ী সমাধান করতে হলে এই অর্জুন ছালের পাউডার ১২ গ্রাম দুধের ক্ষীর বা পায়েসের সাথে মিশিয়ে খেলে নির্মূল হবে।
    👉 অর্জুন ছালের গুঁড়া কাশির পক্ষে অতুলনীয় উপকারী দিক,অর্জুন গাছের ছাল গুঁড়া করে বাসক পাতার রসে ভিজিয়ে নিয়ে ওই মিশ্রণটি আবার শুকনো করে একটু ঘি ও মধু বা মিছরির গুঁড়া দিয়ে খেলে কাশি ভালো হয়।
    👉 অর্জুন ছালের গুঁড়া কাশির পক্ষে অতুলনীয় উপকারী দিক,অর্জুন গাছের ছাল গুঁড়া করে বাসক পাতার রসে ভিজিয়ে নিয়ে ওই মিশ্রণটি আবার শুকনো করে একটু ঘি ও মধু বা মিছরির গুঁড়া দিয়ে খেলে কাশি ভালো হয়।
    👉অর্জুন ছালের গুঁড়া কাশির পক্ষে অতুলনীয় উপকারী দিক,অর্জুন গাছের ছাল গুঁড়া করে বাসক পাতার রসে ভিজিয়ে নিয়ে ওই মিশ্রণটি আবার শুকনো করে একটু ঘি ও মধু বা মিছরির গুঁড়া দিয়ে খেলে কাশি ভালো হয়।
    👉 হাড় মচকে গেলে বা চিড় খেলে অর্জুন ছালের চূর্ণ ২ থেকে ৩ গ্রাম মাত্রায় আধা চামচ ঘি ও সিকি কাপ দুধ মিশিয়ে অথবা শুধু দুধ মিশিয়ে খেলে ভালো হয়।
    👉👉এ ছাড়াও মাঝে মধ্যে যেকোনো কারণে রক্তের চাপ বৃদ্ধি অথবা হ্রাস পায়।এই রক্তের চাপ বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে ৪ থেকে ৫ গ্রাম অর্জুন গাছের ছাল রাত্রিতে জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে নিয়ে ওই জলটা খেলে ওই রক্তের চাপ বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যায়।
    👉এমনকি অর্জুন গাছের পাতা ফোঁড়ার পক্ষেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ,কারণ ফোঁড়া হলে অর্জুন গাছের পাতা দিয়ে ফোঁড়ার উপর ঢেকে রাখলে ফোঁড়া ফেটে যায়,এবং তারপর ওই ফোঁড়ার ঘায়ের উপরপাতার রস দিলে ফোঁড়ার ঘা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
    👉শরীরে ক্ষত বা ঘা অথবা খোস-পাঁচড়া হওয়া হলো একটি স্বাভাবিক রোগ।শরীরে কোনো অংশে ক্ষত বা ঘা হলে,এমনকি খোস-পাঁচড়া দেখা দিলে অর্জুন গাছের ছালের ক্বাথ দিয়ে ওই জায়গাটা ধুয়ে ওই ছালের মিহি গুঁড়া জল দিয়ে মিশিয়ে লাগালে দ্রুত ঘা সেরে যায়। 👉যৌন অনীহা দেখা দেয় যাদের মধ্যে তাদের ক্ষেত্রে অর্জুনের ছাল চূর্ণ দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত খেলে এই রোগ দূর হয়।আবার যাদেরশুক্রমেহ আছে তারা অর্জুন ছালের গুঁড়া ৪ থেকে ৫ গ্রাম ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা আধ পোয়া গরম জলে ভিজিয়ে রেখে,তারপর ছেঁকে ওই জলে ১ চামচ শ্বেতচন্দন মিশিয়ে খেলে উপকার হয়। 👉মাঝে মধ্যে ছোট ও বড়দের রক্ত আমাশয় হয়ে থাকে ।এই রক্ত আমাশয় হলো একটি সাধারণ রোগ । এই আমাশয়ের ক্ষেত্রে ৪-৫ গ্রাম অর্জুন ছালের সাথে ছাগলের দুধ মিশিয়ে খেলে রক্ত আমাশয় ভালো হয়। আবার কাঁচা পাতার রস সেবনে আমাশয় রোগ ভাল হয়। 👉অর্জুন গাছের ছাল শরীরে হজম ক্ষমতা বাড়তে সাহায্য করে। তাছাড়া ডায়রিয়া বা পেটের অন্য কোনো সমস্যা দেখা দিলে অর্জুনের ছাল ৪৫-৩০ গ্রাম করে খেলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং অসুবিধা দূর হয়। 👉 রক্তক্ষরন হলোএকটি জটিল রোগ।এই রোগের জন্য যত শীঘ্রই সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া উচিত । কারোর শরীরে যদি রক্তক্ষরণের সমস্যা থাকে তবে তারা এই গাছের ছাল রক্তক্ষরণের ক্ষেত্রে ৫-৬গ্রাম রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেকে জলটা খেলে দ্রুত আরোগ্য হয়। 👉 অর্জুন গাছের ফল হাঁপানি রোগের একটি মোক্ষম ওষুধ বলা যেতে পারে । এছাড়াও হাঁপানি রোগীর পক্ষে এই অর্জুন গাছের ফল খুবই উপকারী ,কারণ অর্জুন ফল টুকরো করে তামাকের মত ধোঁয়া টানলে হাঁপানিতে উপকার হয়। 👉এমনকি আমাদের প্রত্যেকের শরীরে খাদ্যতন্ত্রের ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখা দরকার,খাদ্যতন্ত্র স্বাভাবিক না থাকলে শরীরে হজম শক্তি কমে যায়এবং আর ও নানারকম সমস্যার সৃষ্টি হয়,ফলে খাদ্যতন্ত্র স্বাভাবিক রাখা অবশ্যই দরকার।এজন্যে খাদ্যতন্ত্র স্বাভাবিক রাখতে হলে আমাদের প্রত্যেককে অর্জুনের ছালের রস প্রতিদিন খাওয়া উচিত তাহলে শরীরে খাদ্যতন্ত্রের ক্রিয়া স্বাভাবিক থাকবে। 👉 অর্জুনের গাছের ছালের রস আরও এক দিকের উপকার করে থাকে । উপকারটি হলো এইগাছের ছালের রস যৌন উদ্দীপনা বাড়াতে ও সাহায্য করে। এমনকি চর্ম ও যৌন রোগের ক্ষেত্রে অর্জুনের ছালের রস ব্যাবহার করলে অনেকটাই সমস্যার সমাধ

    Post a Comment

    0 Comments